সালমান খান ও আলিয়া ভাট প্রথমবারের মতো রুপালি পর্দায় আসছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালির হাত ধরে। ছবির নাম ইনশাল্লাহ। এ বছরেরই মার্চ মাসে এ ঘোষণা আসে। ছবিটা আলিয়ার কাছে স্বপ্নের মতো। কারণ শৈশব থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করা এবং বানশালির সঙ্গে কাজ করা। সে স্বপ্ন সত্যি হতে চলল। কিন্তু সালমান খানের সঙ্গে জুটি বাঁধা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনা হয়। ভক্তরা তাঁকে নিয়ে মিম বানান। যদিও তখনো আলিয়া ছিলেন নীরব। এবার মুখ খুললেন ছবিটি নিয়ে।
আলিয়া ভাট বলেন, ‘আমি কোনো সমালোচনা শুনিনি। আমি তো খুবই রোমাঞ্চিত। আমি মনে করি, মাঝেমধ্যে গুজবও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। সুতরাং গুজব হবে না কেন? আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। সালমান খান ও বানশালি স্যারও এসব নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না। আমি মনে করি বানশালি স্যার এমন একজন পরিচালক, যিনি ভালো সিনেমা বানান। আমাদের শুধু তাঁর ওপর আস্থা রাখা উচিত।’
২০২০ সালের ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে। এই ছবি নিয়ে আলিয়ার রোমাঞ্চ যেন কাটেই না। বিশেষ করে বানশালির সঙ্গে সিনেমা করা তাঁর কাছে আরেক স্বপ্নের মতো। আলিয়া বলেন, ‘আমি ৯ বছর বয়সে সঞ্জয় লীলা বানশালির অফিসে যাই। আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু আশা ছিল। মনে মনে দোয়া করেছি যেন তাঁর পরবর্তী সিনেমাতে কাজ করতে পারি। এত দিন পর অবশেষে সেই সৌভাগ্য এল। সঞ্জয় স্যার ও সালমান খান—দুজনই অসাধারণ। তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে আর তর সইছে না। আমি মনে করি, আমাদের শুধু তাঁদের ওপর আস্থা রাখা উচিত।’
সালমান খান ও বানশালির প্রযোজনা সংস্থা যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করবে। আলিয়া ভাটকে দেখা যাবে কলঙ্ক ও তখত সিনেমায়। এ ছাড়া সড়ক ২ সিনেমাতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা