সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ: ফেব্রুয়ারি মাসেই বণার্ঢ্য আয়োজনে প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী সংগীতশিল্পী সীমা খান এর প্রথম একক এ্যালবাম ”যাক উড়ে যাক”। দেশের স্বনামধন্য অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সীমা খানের এ্যালবামটি প্রকাশ পায়। এ্যালবামটিতে রয়েছে মনের মতো কিছু গান। দরজায় কড়া নাড়ছে বৈশাখ। আর এবারের বৈশাখে দর্শক-শ্রোতাদের জন্য নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সংগীতশিল্পী সীমা খান। জি সিরিজের ব্যানারে বাজারে আসছে তার ভিন্ন স্বাদের একটি মিউজিক ভিডিও। ভালো লাগে শিরোনামের এই গানটি তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘যাক উড়ে যাক’ থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈশাখজুড়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে মিউজিক ভিডিওটি প্রচারিত হবে।
গানটির কথাগুলো এমন ‘ভালো লাগে এইতো দু’জনে/ ভিজে যাওয়া মন বরষায়/ ভালো লাগে মন খুব আনমনে ডুবে যাওয়া মন মোহনায়…। গানটিতে সীমা খানের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। গানটির সুর ও কথা লিখেছেন আহমেদ রাজীব। পরিচালনা করেছেন মঞ্জু আহমেদ।
সীমা খান স্বদেশ কে জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণার ব্যানারে অডিও অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচিত হয়। অ্যালবামটিতে মোট আটটি গান রয়েছে। আহমেদ রাজীব এবং ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের সংগীতায়োজনে এই অ্যালবামে নানা বৈচিত্র্যের দারুণ সব গান গেয়েছেন সীমা খান।
তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীত শিখেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ আক্তার সাদমানীর কাছে। নজরুল সংগীত শিখেছেন খালিদ হোসেনের কাছে। নিজের আগ্রহ আর চেষ্টায় দেশাত্মবোধক এবং আধুনিক সংগীতেও তিনি পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
স্বদেশর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে তার শৈশব কৈশোরের নানা দিক। বাংলাদেশের চাঁদপুরের মেয়ে সীমা খান বাল্যজীবন কেটেছে মূলত ঢাকায়। বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি’র পর ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। সেখানকার ব্লুমিংটন ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইনে মাস্টার্স শেষে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ক্যাপেলা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পিএইচডি’র মেজর ছিল ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইন ফর অনলাইন লার্নিং।
কর্মজীবনে তিনি প্রথমে টেক্সাসের একটি মাধ্যমিক স্কুলে এবং পরে ভার্জিনিয়ার একটি এলিমেন্টারি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করেছেন। পরে যোগ দেন ইউএস ফেডারেল গভর্নমেন্টে। সেখানে প্রথমে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন ইউনিভার্সিটি এবং পরে স্টেট ডিপার্টমেন্টে এডুকেশন স্পেশালিস্ট হিসেবে যোগ দেন।
সীমা খান গত নয় বছর ধরে ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’তে প্রোগ্রাম ম্যনেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে কর্মজীবনের হাজারো ব্যস্ততা গানের প্রতি আকর্ষণ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি।