আমি গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেই: প্রধানমন্ত্রী

আমি সব সময় গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেই। তখন (১৯৯৬ সাল) থেকেই আমরা গবেষণা শুরু করলাম। আজকে তার ফলে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিশেষ গবেষণা অনুদান এবং এনএসটি চেক বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুগ পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বটাই হচ্ছে পরিবর্তনশীল। এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেই আমাদের সব কাজ করতে হবে। আমরা কারো থেকে পিছিয়ে থাকব না, এটাই হচ্ছে আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছিলাম বলেই আজকে অনেক ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা লাভ করতে পেরেছি। আমরা এখন বিদেশেও পাঠাই, যাতে করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে আসতে পারে। যেটা স্বাধীনতার পর সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেইগুলো ৭৫’র পর সব বন্ধ করে দেয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি প্রতিনিয়ত আমাদের গবেষণা করতেই হবে। তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের মানুষ অনেক মেধাবী। তারা কখনও পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং পিছিয়ে থাকবে না। কিন্তু সেই সুযোগটা আমাদের সৃষ্টি করে দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গবেষণাকে গুরুত্ব দিতেন বলেই তিনি এই অধ্যাদেশ জারি করে দিয়ে যান। বর্তমান বাংলাদেশে অর্থনীতির যে উন্নয়ন হয়েছে সেটাকে টেকসই করতে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply