Breaking News
Home / Entertainment / জেনিফারের বিরুদ্ধে প্রযোজক ইকবালের জিডি

জেনিফারের বিরুদ্ধে প্রযোজক ইকবালের জিডি

সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: সাবেক স্বামী চলচ্চিত্র প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবালের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন প্রযোজক তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার। পরদিন বুধবার রাতে জেনিফারের নামে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ইকবাল। সেখানে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে চলচ্চিত্রের সুনাম নষ্টের অভিযোগ ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি। গুলশান থানার উপপরিদর্শক মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাধারণ ডায়েরিতে ইকবাল উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন তাঁরা। সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই উচ্ছৃঙ্খলতা, অনৈতিক কার্যকলাপ ও বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করেন জেনিফার। এই কারণে বনিবনা হচ্ছিল না বলে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে জেনিফার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা, হয়রানি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন। চলচ্চিত্র জগতে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে থাকেন সাবেক স্ত্রী জেনিফার। এমনকি তাঁর সিনেমার কাজে আগ্রহী শিল্পীদের বিভিন্ন ধরনের কুপরামর্শ দিতে থাকেন। সাধারণ ডায়েরিতে ইকবাল উল্লেখ করেন, অভিনয়ে আগ্রহী তাসনিয়া নামের এক তরুণীকে তাঁর ছবিতে কাজ করতে বারণ করেছেন জেনিফার। এমনকি তাসনিয়াকে সিনেমার নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার কাছে নিয়ে যান তিনি।

বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে ইকবালের নামে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা করেছেন জেনিফার, যেগুলোর তদন্ত চলছে। ইকবালের দাবি, মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে জেনিফার সাবেক স্বামীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছেন। সাধারণ ডায়েরির এক জায়গায় ইকবাল উল্লেখ করেন, জেনিফারকে ২০ লাখ টাকা দিলে তিনি সব মামলা তুলে নেবেন, সংগীত পরিচালক ইমন সাহার মাধ্যমে মো. ইকবালকে এ প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেনিফার বলেন, ‘তিনি আমাকে বিয়ে করেছেন প্রতারণা করে। ধরা পড়ার পর অবস্থা বেগতিক দেখে বিচ্ছেদ নিয়েছেন।’ চলচ্চিত্রে ইকবালের ভাবমূর্তি নষ্ট ও জীবনের হুমকির অভিযোগের বিষয়ে জেনিফার বলেন, ‘এর কোনো সত্যতা নেই। বরং আমার ছবির কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনিই আমার পেছনে লেগেছেন। নানাভাবে আমাকে হয়রানি, উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। আমি জিডিতে সব কাহিনি উল্লেখ করেছি। বিষয়টির সাক্ষীও আছেন আমার ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ও ব্যবস্থাপক মিনহাজ।’

মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সংগীত পরিচালক ইমন সাহার মাধ্যমে মো. ইকবালের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকার প্রস্তাবের বিষয়টিও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জেনিফার। তিনি বলেন, ‘ইমন সাহা আমার ছবির মিউজিকের কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে আমার দেখাও হয়নি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। শুধু ছবির গানের বিষয়ে দুই–এক দিন কথা হয়েছে।’

জেনিফারের ভাষ্য অনুযায়ী তাঁর ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ও ইউনিটের ব্যবস্থাপক মিনহাজের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের দুজনের ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।

About RJ Saimur

Check Also

দুটি কিডনিই ড্যামেজ কলেজ ছাত্রী সাবরিনার, সাহায্যের আবেদন

কলেজ ছাত্রী সাবরিনা। দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাঁচতে হলে কিডনি ট্রান্সপারেন্ট …

Leave a Reply