ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বৃষ্টি যোগ করেছে বাড়তি চিন্তা।

টন্টনের মাঠটি এবারের বিশ্বকাপে আয়তনে সবচেয়ে ছোট মাঠ। আর ছোট মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধে হওয়ার কথা। এই নিয়ে বাংলাদেশ দলে কিছুটা চিন্তা থাকলেও বিচলিত নন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বৃষ্টি যোগ করেছে বাড়তি চিন্তা। জয়-পরাজয় একপাশে রেখে প্রতি ম্যাচের আগে ভাবতে হয়, খেলা হবে তো? আপাতত আজ বৃষ্টি নিয়ে তেমন শঙ্কা না থাকলেও বাংলাদেশের নতুন ভাবনার জায়গা জুড়ে টন্টনে সমারসেট কাউন্টি মাঠ। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে ছোট মাঠ এটি। ব্যাটসম্যানরা চাইলে আকাশে উড়িয়ে মারতে পারেন বল। এমন মাঠে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানে বোলারদের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা।

সাধারণত যত বড় মাঠেই খেলা হোক না কেন, অনেক সময় দেখা যায় ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলদের অনেক মিস হিটও ব্যাটের কানায় লেগে সীমানার বাইরে চলে যায়। স্বাভাবিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের অন্দর মহলে মাঠের আয়তন নিয়ে আলোচনা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই নিয়ে কথাও বলতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে। ছোট মাঠ বাংলাদেশের জন্য কতটা সুবিধা বা অসুবিধার?

নিজের সহজাত ভঙ্গিতেই জবাবটা দিয়েছেন মাশরাফি। মজার ছলেই বলেছেন, ‘বড় মাঠে যেটা ছয় হবে, সেটা তো এখানে আর ১২ হয়ে যাবে না! কিন্তু মাঠ ছোট হওয়াতে আমাদের ব্যাটসম্যানদের সুবিধা একটু বাড়বে। আমাদেরও ওই সুযোগগুলো থাকবে। তাই আমি এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি থাকবে। কারণ, মাঠ ছোট বলে যেগুলো এজ হবে, আউট হওয়ার ফিফটি-ফিফটি সুযোগ, সেগুলোও এখানে হয়তো ছয় হয়ে যাবে। এমনিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলতে গেলে বোলারদের চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই থাকে।’

সাধারণত দলের একাদশ নির্বাচন করা হয় আবহাওয়া, পিচ ও প্রতিপক্ষের শক্তি মত্তা দেখে। কিন্তু আজ বাংলাদেশ দল নির্বাচনের করার আগে মাঠের আকৃতি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ছক আঁকা হয় বরাবর স্পিন আক্রমণ দিয়ে। মাশরাফির যা ইঙ্গিত আজও বহাল থাকছে তা। কিন্তু টন্টনের ছোট মাঠের স্পিন নির্ভরতা বিপদে ফেলবে না তো?

Leave a Reply