আট দিন আগে সালমান খানের ছবি ‘ভারত’ মুক্তি পেয়েছে। ১০০ কোটি রুপি খরচ করে বানানো ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের এই ছবি গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তুলেছে ২৫৬ কোটি রুপি। নিঃসন্দেহে ছবিটি হিট। সময়ের সঙ্গে এই অঙ্ক পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। যদিও সমালোচকেরা খুব ভালো রিভিউ দেননি। সমালোচকদের কাছ থেকে ‘ভারত’ গড়ে পাঁচের মধ্যে পেয়েছে দুই। তবে সমালোচকেরা কী বললেন আর কয়টা স্টার দিলেন, তাতে নাকি কিছুই আসে–যায় না ভাইজানের। বরং সমালোচকেরা ভালো কথা বললেই ভড়কে যান তিনি। ডেকান ক্রনিকলের এক প্রতিবেদন থেকে তেমনটাই জানা গেছে।
এক সাক্ষাৎকারে সালমান খান বলেন, ‘আমার ছবি ভালো হলো না খারাপ হলো, তা আমি বক্স অফিস দেখেই জেনে যাই। দর্শক ছবিটি গ্রহণ করেছেন না করেননি, সেটা বলে দেবে বক্স অফিস। আর সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কে কী বললেন, স্টার দিয়ে ভরিয়ে ফেললেন নাকি জঘন্য বললেন, তাতে কিছুই আসে–যায় না।’
এ সময় সালমান খান তাঁর রসবোধের প্রয়োগ করে মজা করতেও ছাড়েননি। বললেন, ‘সমালোচনা করা সমালোচকেরা “ব্রেড অ্যান্ড বাটার”। এটা তাঁদের কাজ।’ সালমান খান আরও বলেন, ‘দোয়া করছি, সৃষ্টিকর্তা যেন তাঁদের ঘরে বেশি বেশি “ব্রেড অ্যান্ড বাটার” দেন।’
যখন সমালোচকেরা খুব ভালো রিভিউ দেন, তখন কেমন লাগে? সালমান খান বলেন, ‘তখন খুব ভয় পাই। কারণ যতবার তাঁরা ভালো রেটিং দিয়েছেন, প্রায় ততবারই আমার ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।’
দর্শকদের সঙ্গে নাকি সমালোচকদের মতামত মেলে না। তাই সমালোচকেরা যখন কোনো ছবিকে ভালো বলেন, তখন টেনশনে পড়ে যান এই অভিনেতা। কারণ, খুব কমই দর্শক সমালোচকদের সঙ্গে একমত হতে পেরেছেন। সালমান খান চান, দর্শক যেন সিনেমা হলে ঢুকে আর সব ভুলে ডুব দিতে পারেন ছবিতে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিজের জীবনের সব দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা ভুলে ছবিটা উপভোগ করতে পারেন। আর একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠার উদ্দীপনা নিয়ে হল থেকে বের হতে পারেন।
এবার ঈদে সালমান খান সবচেয়ে ভালো উপহার কী পেয়েছেন? সালমান খান বলেন, ‘দর্শক হুমড়ি খেয়ে আমার “ভারত” ছবি দেখছেন। এবার ঈদে এটা আমার সবচেয়ে বড় উপহার। যে অনুভূতি নিয়ে আমি এই ছবিতে “ভারত” হয়ে উঠেছি, দর্শক তা অনুভব করতে পেরেছেন। এখানেই আমি সফল।’
সালমান খান জানালেন, এমন অনেক চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে, যা পড়ে, অভিনয় করে বা বড় পর্দায় দেখে তিনি সেই চরিত্র অনুভব করতে পারেননি। কিন্তু ‘ভারত’ ঠিক তার উল্টো। প্রতি মুহূর্তে তিনি নিজের শিরায় ‘ভারত’ হওয়ার অনুভূতি অনুভব করেছেন। বললেন, ‘আমি অমিতাভ বচ্চন বা দিলীপ কুমারের মতো শক্তিশালী অভিনেতা নই। তাঁরা যে চরিত্রে অভিনয় করেন, পর্দায় তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু “ভারত”হয়ে উঠতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর তার ফল তো জ্বলজ্বল করছে বক্স অফিসে।’