বেশ আগে থেকেই তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা ক্রিকেটার। অর্জনের মুকুটে এমন সব পালক আছে যা অনেক বাঘা বাঘা ক্রিকেটারেরও নেই। সাকিব আল হাসান এমনই, যেখানে যান জায়গাটা নিজের করে নেন। আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানকে তেমনই বানিয়ে ফেলেছিলেন ‘নিজস্ব সম্পত্তি’। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে জায়গাটা কেড়ে নেন আফগানিস্তানের লেগি রশিদ খান। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলে সাকিব আবারও ফিরলেন শীর্ষস্থানে। কাল ওয়ানডের হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিং তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেন বাংলাদেশের এ তারকা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে ৫ ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই খেলতে পারেননি সাকিব। এক ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে, অন্যটিতে আঘাত হানে বেরসিক চোট। চোটের কারণে ফাইনালের স্বাদ নিতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে বসে। কিন্তু তার আগেই যা করার করে ফেলেন সাকিব। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করা সাকিবের বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৩৫৯। দুইয়ে নেমে যাওয়া রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৩৩৯।
ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে অপরাজিত ফিফটি তুলে নেন সাকিব। এতে ৩ ম্যাচে তাঁর রান ১৪০, ব্যাটিং গড়ও ১৪০! বল হাতেও কম যাননি। ২ উইকেট পেলেও তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৪.৩১। বল হাতে বেশ ভুগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না রশিদ। শেষ ম্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’ দেখতে হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট পেলেও পরের ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। পরিণতিতে শীর্ষস্থান হারাতে হলো সাকিবের কাছে। আট মাস পর শীর্ষ ওয়ানডে অলরাউন্ডারের জায়গা ফিরে পেলেন সাকিব।
৩১৯ রেটিং পয়েন্ট তিনে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে বাকি দুজন—পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ও নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার। ২০৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ ওয়ানডে অলরাউন্ডারের র্যাঙ্কিংয়ে ২৬তম।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য উন্নতি হয়নি সাকিবের। মোহাম্মদ নবী, লকি ফার্গুসনের সঙ্গে যুগ্মভাবে ১৯তম। ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিতে পারেনি বাংলাদেশের কেউ। ৬৪৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ১১তম। মেহেদী হাসান মিরাজ আর মাশরাফি বিন মুর্তজা যথাক্রমে ২২ ও ২৪তম।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে আছেন মুশফিকুর রহিম। ৬৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২০তম মুশফিক। ৬৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তামিম ইকবাল ২২ তম।