সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেল কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া একটি গান গেয়েছে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি রিস নামের একটি শিশু। এটি নজরে এসেছে কুমার বিশ্বজিতেরও। এটি নিয়ে তিনি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে কথা হলো এই সংগীতশিল্পীর সঙ্গে।
রিসের গাওয়া গানটা কবে দেখলেন?
কয়েক দিন আগে আমার এক ফেসবুক বন্ধু ভিডিওটা ইনবক্স করেছিল। তখনই দেখি। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল ব্যাপারটা। তারপর আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। একটা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শিশু, যে ঠিকঠাক বাংলা বলতে পারে না, সে আমার গাওয়া গান গাইছে। আমি স্ট্যাটাস দেওয়ার পর শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা ইংল্যান্ডে যেতে বলেন। আমি বলেছি, আগস্টে আমেরিকা যাব। তখন ওখানে যেতে পারি।
মন ঘটনা কি এবারই প্রথম?
না, এবারই প্রথম নয়। অনেক ঘটেছে। কিছুদিন আগে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে একজন পাঠিয়েছে এ রকম একটা ভিডিও। একটা শিশু আমার পুরোনো একটা গান গাইছে। আমার মনে হয়, পারিবারিক একটা আবহের কারণে এমনটা হয়। আমার বাবা যেমন হেমন্ত ও মান্না দের গান শুনতেন। সেটা আমার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। এই সময়ের শিশুদের মা–বাবা আমার গান শোনেন। সেটাও হয়তো ওদের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। আসলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই বড় হোক, যার মধ্যে বাংলাদেশের একটু ছিটেফোঁটা আছে, সে এই চর্চা করবেই।
এই সময় অনেক তরুণ আপনার গান গেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছেন।
আমার জন্য অনেক আনন্দের ব্যাপার। কারণ, পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের গান বহন করে চলেছে, এটা তো ভালো ব্যাপার। উত্তরাধিকার তৈরি হচ্ছে। এটা যেমন আমাদের জন্য আনন্দের, তেমনি তরুণ প্রজন্মের কাছেও গৌরবের। তবে যেটাই করুন, সেটা মন দিয়ে, দেশপ্রেম দিয়ে করতে হবে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, আমরা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যতটুকু এগিয়েছি, তাতে অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণ আছে।
এখন মনে রাখার মতো গান কেমন হচ্ছে?
আগে আমাদের গান পয়সা খরচ করে শুনত দর্শক। এখন পয়সা খরচ করে গান ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করে আবার বুস্ট করতে হয়। এই বিশ্বায়নের যুগে প্রতিযোগিতাও কম নয়। সারা বিশ্বের গানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। তাই যা কিছুই করা হোক, সেটা বুঝেশুনে করা উচিত। ভালো হলে অবশ্যই মানুষ সেটা মনে রাখবে। শুধু বাণিজ্যিক বিষয় না দেখে দেশপ্রেম ও সৃষ্টিশীলতার দিকে নজর দিতে হবে। তা হলে একসময় না একসময় বের হয়ে আসবে। মোটকথা, সময়কে সময় দিতে হবে।
আপনার এই সময়ের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
পুরো ব্যস্ততা ঈদকে কেন্দ্র করে। একটা নাটকের গান করলাম কদিন আগে। আরও কিছু কাজ করছি, তবে এখনই সেটা বলতে চাইছি না।