”শ্রীলঙ্কায় গির্জা-হোটেলে হামলায় নিহত ১৩৮, আহত ৪০০ জন এর মতো ।

শ্রীলঙ্কায় আজ রোববার সকালে ছয়টি সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানকার তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেল এবং দেশের অন্য অংশে একই সময় ওই হামলা চালানো হয়। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রোববার স্টার সানডের দিন সকালে চালানো ওই হামলায় আরও প্রায় চার শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। কিছু কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৬০ জন ছাড়িয়েছে গেছে। তবে এটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়জন বিদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পেরেছেন তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, কলম্বোর উত্তরে কাটুওয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাসটিয়ান চার্চে ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ওই চার্চের কিছু ছবিতে দেখা গেছে, মাটিতে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, বিভিন্ন স্থানে রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং ছাদ ধসে পড়েছে।

গণমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় বাট্টিকালোয়া প্রদেশের একটি চার্চে হামলায় ২৫ জন নিহত হয়েছে।

এদিকে ওই হামলার পর শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০০ জন সৈন্য মোতায়েন করেছে। এছাড়া ভয়াবহ ওই হামলার পর শ্রীলঙ্কার সব স্কুল দুই দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

হামলার পর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, আমার দেশের জনগণের ওপর এ ধরনের কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই শোকের সময় আমি সব শ্রীলঙ্কান ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা জানান, ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাবস্থায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চ, পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর নেগোমবোর সেন্ট সেবাসটিয়ান চার্চ এবং পূর্বাঞ্চলীয় বাট্টিকালোয়া শহরের একটি চার্চ ওই হামলার শিকার হয়েছে।

এছাড়া তিনটি পাঁচ তারকা হোটেল- সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবারি হোটেলেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সাধারণত ইস্টার সানডের সময় শ্রীলঙ্কার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে থাকে।

তবে এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি

Leave a Reply