বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের নিবিড় তদারকিতে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করায় তা রোধসহ সংশ্লিষ্ট লোকজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের আজকের অধিবেশন শুরু হয়।
সরকারি দলের অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম টিকফা কাউন্সিল চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন। বর্তমানে মোট খাদ্য মজুত রয়েছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩১৭ মেট্রিন টন। এর মধ্যে ধান ১ হাজার ৩৪৯ মেট্রিক টন, চাল ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ মেট্রিক টন ও গম ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন। জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যে সমঝোতা স্মারকের আওতায় রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে রোহিঙ্গাদের বাড়তি চাপে দেশে আপাতত খাদ্য-সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।
আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য আলাদা ডেটাবেইস প্রস্তুতের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় ৯ হাজার ৯৩৩ জন শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে মোট ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন কর্মী বিদেশ গেছেন। এ সময় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৫ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিদেশে কর্মী কম গেলেও রেমিট্যান্স এসেছে অনেক বেশি।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর আরেক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান জানান, বর্তমানে (শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭) দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক ও তদূর্ধ্ব শিক্ষিত বেকার ১০ লাখ ৪৩ হাজার (৪০%)।