প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করলেন গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু

যুবলীগের এক ডজন নেতাকে খুজঁছে পুলিশ শীর্ষক সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু।

তিনি দাবি করেছেন, তাকে ঘিরে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য।
তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদে যেখানে লেখা আছে একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু।এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুয়া ,অসত্য ।আমি বর্তমান যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অথচ আমি স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ।

এর আগে ১৯৯৬ সালে( সাবেক ৭৯) বর্তমান ৪৩ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহব্বায়ক ছিলাম।১৯৯৮ সালে সরকারী শহীদ সোরওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। পরবর্তী ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করি।আমি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপির প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদ করায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ ২ মাস কারাবন্দী থাকি।

এরপর ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের দু:শাসনের প্রতিবাদে কলেজে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকি। পরবর্তী ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের দু: শাসনের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ এর প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রনের যাওয়ার পথে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার থেকে গ্রেফতার হয়ে আবার দুই বছর জেল খাটি। বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে ১/১১ও নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে গ্ররুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি।

তিনি দাবি করেন, আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত।
এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে লেখা আছে, রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় গ্রেটওয়াল মার্কেটে গাজী সারোয়ারের নিজের ১৫টি দোকান রয়েছে। এগুলোর বাজার মূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ৪০টির মতো দোকান নিজের দখলে । এর প্রতিবাদ জানিয়ে বাবু বলেন, এটা সম্পূর্ণ অসত্য।আমার নিজের কেনা একটি দোকান আর একটি দোকান ভাড়ায় চালাই।এছাড়া আমার আর কোন দোকান নেই। তিনি আরো বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কেটে চাদাঁবাজি বন্ধ হয়ে গেছে।

এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে লেখা আছে , ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক এবং হাসপাতালের ক্রয় কমিটির চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- হাসপাতালে একটি ডিম ১৪০ টাকা ও কলা ১৭০ টাকা নেয়া হয়। চার বছর ধরে তিনি রোগীদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে আমি সদস্য সভাপতি এ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ বাকী আরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ,অর্থ মন্ত্রনালয়, সচিব উপ-সচিব ঢাকার ডিসি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, হাসপাতালের সিনিয়র কাউন্সিলরসহ মোট ২৭ জন ব্যক্তির তত্ত্ববাধানে চলে এখানে দুর্নীতি হওয়ার কোন সুযোগ নেই।এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে আরো লেখা আছে,যাত্রাবাড়ীতে ৫ কাঠা জমি ও ছয়তলা বাড়ি,হাসপাতালের জায়গা দখল করে রিকশা গ্যারেজ আছে । এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভূয়া বানোয়াট। এর কোন সত্যতা নেই।

যুবলীগ নেতা বাবু দাবি করেন ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আহত হন এ। ১/১১ সময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি হয়েছেন।

Leave a Reply