Breaking News
Home / News / বিষ মেশানো আইসক্রিম খাইয়ে নিজের শিশুকে হত্যা !!

বিষ মেশানো আইসক্রিম খাইয়ে নিজের শিশুকে হত্যা !!

রাজধানীর মুগদায় সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে শিশুটি মারা যায়। পুলিশ বলছে তারা নিশ্চিত শিশুটির মা’ই তার সন্তানকে হত্যা করেছেন। তবে কেন তিনি হত্যা করলেন তা এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।এ ঘটনায় ওই শিশুর মায়ের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় আজ সোমবার হত্যা মামলা হয়েছে।নিহত শিশুর নাম রোজা ফারদিন। তার মায়ের নাম রোকসানা আক্তার।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজল মাহমুদ সোমবার প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আইসক্রিমের সঙ্গে বিষ জাতীয় উপাদান মিশিয়ে নিজের শিশুটিকে হত্যা করেছেন ওই মা। ওই মা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শিশু ফারদিনকে হত্যা করার অভিযোগে আজ সোমবার শিশুটির চাচা মো. সোহেল বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।মামলায় সোহেল বলেন, ছয় বছর আগে তাঁর বড় ভাই মঞ্জুর হাসান রাসেলের সঙ্গে রোকসানা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁরা মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। গত ১৭ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর ভাই মঞ্জুর মারা যান। পাঁচ-ছয়দিন আগে তিনি তাঁর ভাবী ও ভাতিজির সঙ্গে দেখা করে আসেন। গতকাল রোববার রাতে তিনি জানতে পারেন, তাঁর ভাতিজি রোজা ফারদিনের লাশ পড়ে আছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।মামলায় সোহেল দাবি করেন, তাঁর ভাবী রোকসানা আক্তার ভাতিজিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বিষজাতীয় ট্যাবলেট গুড়ো করে তা আইসক্রীমের সঙ্গে মেশান। পরে সেই আইসক্রীম খাওয়ানোর পর ফারদিন জোরে কান্নাকাটি শুরু করেন। তখন আশপাশের লোকজন কান্নার শব্দ শুনে ছুটে আসে। পরে ফারদিনকে মুগদা হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহার দাবি শিশু ফারদিনকে তার মা রোকসানা হত্যা করেছেন তা নিশ্চিত। রোকসানা দাবি করছেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তবে কেন তাঁকে হত্যা করেছে সেই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শিশু ফারদিনের ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

About hasan mahmmud

Check Also

দুটি কিডনিই ড্যামেজ কলেজ ছাত্রী সাবরিনার, সাহায্যের আবেদন

কলেজ ছাত্রী সাবরিনা। দুটি কিডনিই ড্যামেজ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাঁচতে হলে কিডনি ট্রান্সপারেন্ট …

Leave a Reply