আরও ছাড় পেলেন ঋণখেলাপিরা

এবার আরও ছাড় পেলেন ঋণখেলাপিরা। বর্তমানের চেয়ে আরও সময় বেশি নিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন তারা।মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও ছয় মাস টাকা না দিয়ে খেলাপিমুক্ত থাকতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এতে একজন ব্যবসায়ী ঋণ পরিশোধের জন্য আগের চেয়ে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় পাবেন।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণীকরণ ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের নীতিমালায় পরিবর্তন এনে ঋণখেলাপিদের নতুন করে এ সুযোগ করে দিয়েছে।

ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, এটি আগামী জুন মাস থেকে কার্যকর হবে।

নতুন নীতিমালায় খেলাপি ঋণ হিসাবায়নের তিনটি পর্যায়েই সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ঋণ পরিশোধে আগের চেয়ে প্রায় ছয় মাস বাড়তি সময় পাচ্ছে ঋণগ্রহীতারা। এতে প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাবে ব্যাংকগুলোও।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সব ধরনের নিয়মিত ঋণ, চাহিদা ঋণ, মেয়াদি ঋণ অথবা যেকোনো ঋণের কিস্তি তিন মাসের বেশি তবে ৯ মাসের কম অনাদায়ি থাকলে তা সাব-স্ট্যান্ডার্ড বা নিম্নমানের খেলাপি ঋণ হিসেবে গণনা করা হবে। আগে তিন মাসের বেশি অনাদায়ি থাকলেই সাব-স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গণনা করা হতো। অন্যদিকে ৯ মাসের বেশি কিন্তু ১২ মাসের কম অনাদায়ি থাকলে তা সন্দেহজনক ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আগে ছয় মাসের বেশি তবে ৯ মাসের কম অনাদায়ি ঋণকে সন্দেহজনক ঋণ বলা হতো। আর ১২ মাসের বেশি অনাদায়ি ঋণ বিবেচিত হবে মন্দ ঋণ হিসেবে। আগে ৯ মাসের বেশি অনাদায়ি ঋণ মন্দ ঋণ হিসেবে বিবেচিত হতো।

তবে সার্কুলারে সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের একটা অংশ খেলাপি ঋণ হিসেবে দেখাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণ খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা হতো না।

এদিকে ২ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ঋণখেলাপিরা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ শোধ করতে পারবেন। এ জন্য তাদের এককালীন ২ শতাংশ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর ১২ বছরের মধ্যে বাকি টাকা শোধ করতে পারবেন। পয়লা মে থেকে নতুন এ সুবিধা কার্যকর হবে।

এর আগে ব্যাংকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের চাপে ব্যাংকের করপোরেট কর ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এরও আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার (সিআরআর) ১ শতাংশ কমায়। টানা ৯ বছর ব্যাংকের পরিচালক থাকা ও এক পরিবারের ৪ জনকে ব্যাংকের পর্ষদে থাকার সুযোগ দিয়ে আইনে পরিবর্তন আনে সরকার। সরকারি আমানত বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সীমাও ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তখন তাঁরা বলেছিলেন, সুদ হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনবেন। যদিও সুদ হার এখনো ১৫ শতাংশের বেশি রয়ে গেছে।

Leave a Reply