বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের জয়ী প্রার্থীদের শপথ না নেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোভাব অনুযায়ী প্যারোল নয়, তাকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়া আরও জোরালো করার পাশাপাশি রাজপথে কর্মসূচি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপির মাধ্যমে অংশ নেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদেরকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়।
স্থায়ী কমিটির দুই নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শপথ না নেয়ার বিষয়ে আমাদের আগের স্থায়ী কমিটিতে যে সিদ্ধান্ত ছিল, তা আরও জোরালোভাবে নেয়া হয়েছে। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শপথের বিষয়ে মতামত চাইলে শপথ না নেয়ার বিষয়ে সবাই এক বাক্যে মত দেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দলের এই সিদ্ধান্তের কথা চলতি সপ্তাহের যেকোনও দিন নির্বাচিত ছয় এমপিকে গুলশান কার্যালয়ে ডেকে জানানো হবে। একই সঙ্গে কেউ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তারা নির্বাচন প্রত্যাখান করে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেছে। তাই সংসদে গেলে নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া হবে। নির্বাচিতদের কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া বৈঠকে নুসরাতহত্যাসহ সম্প্রতি সারা দেশে নারী নির্যাতন, খুন বেড়েছে দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ দলটির স্থায়ী কমিটি। এসবের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।