প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নানান ধরনের রিলিফ বা ত্রাণের আশায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন। কক্সবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছি।
সোমবার নগরীর ইটিআই ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন ডেমোক্রেসি আরএফইডির নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছি। স্থানীয় অনেকে রোহিঙ্গা হয়েছে রিলিফের আশায়। স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে। অনেক সময় স্বামী রোহিঙ্গা, স্ত্রী বাংলাদেশি। আবার স্ত্রী বাংলাদেশি, স্বামী রোহিঙ্গা। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, সুন্দর ভোটের জন্য ভোটার লিস্ট স্বচ্ছ করা দরকার। প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার তালিকায়। ওরাই কবর থেকে ভোট দিয়েছে। কবরবাসীও ভোট দিত। মৃত ভোটার আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। অন্যদিকে ৩৬ লাখ ভোটার হতে পারে, এমন ব্যক্তিকে ভোটার করা হয়নি। এগুলো বাদ পড়ে যেত।
সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোতে সঠিক ভোট হয় জানিয়ে সিইসি বলেন, যদি সাংবাদিকদের মতো নির্বাচন করতে পারতাম, ভালো হতো। সাংবাদিকদের সংগঠনের ভোটে কোনো ঝামেলা নাই, কারচুপি নাই, অভিযোগও নাই। আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহ চাই।






Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.