বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রথম ধাপ হিসেবে আমরা আজকে প্রস্তাব দিয়েছি নিবন্ধন বাতিল করার। এর মধ্যে দিয়ে দলটিকে পলিটিক্যালি ডিসফাংশনাল করা…যেটি আমরা ৫ অগাস্ট ছাত্র নাগরিকরা জনরায়ের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটি হবে ইনস্টিটিউশনাল রায়।’
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি আজকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জায়গা থেকে আমি বলেছি যে, নৌকা ডুবে গেছে। সেটি আর বাংলাদেশে কখনই আসবে না। আওয়ামী লীগ এটার চ্যাপ্টার এন্ড। ৫ অগাস্ট অর্থাৎ ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ পরিবর্তিত বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলো আসে। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সবাই একটা জায়গায় একমত পৌঁছেছি যে, পরিবর্তিত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ হচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক। আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল যেভাবে হারিয়ে যায়, অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়, ঠিক আওয়ামী লীগও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এখন আহ্বান জানিয়েছি, সরকার উদ্যোগ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যেন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এবং পরবর্তী কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যেন আওয়ামী লীগ ফাংশনাল না হতে পারে, সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি।’






Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.