রজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। অনেকের মতে, ইউরোপ সেরার এই লড়াইয়ে আসল লড়াইটা হবে মোহাম্মদ সালাহ বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু ফাইনালে কে কাকে টেক্কা দিতে পারবেন? প্রশ্নটা কিয়েভে ফাইনালের আগে থেকেই জোরদার হয়ে উঠেছে। লিভারপুল সমর্থকরা জানেন রোনালদোকে আটকাতে না পারলে রিয়ালের টানা তৃতীয় ট্রফি জয়ের ইতিহাস গড়া থামানো সম্ভব নয়।
একবার রোনালদোকে আটকাতে পারলেই বাকি দায়িত্বটা থাকবে তাদের আক্রমণভাগের। বিশেষ করে মোহাম্মদ সালাহর। মিশরের স্ট্রাইকার পুরো মৌসুমেই দারুণ ফর্মে আছেন। রোমা থেকে লিভারপুলে আসার পর চলতি মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লিগে ৩২টি গোল-সহ সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৪৪টি গোল করে ফেলেছেন। সালাহ, রবার্তো ফির্মিনহো এবং সাদিও মানের ত্রিমুখী আক্রমণের সাহায্যেই এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল দেওয়ার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে লিভারপুল। ২৫ বছর বয়সী সালাহর ভয়ংকর ফর্ম দেখে অনেকে তার সঙ্গে রোনালদোর তুলনা শুরু করে দিয়েছেন।
তবে লিভারপুল ম্যানেজার জার্গেন ক্লপ মনে করেন, সালাহ যতই ফর্মে থাকুন না কেন, তার সঙ্গে রোনালদোর তুলনা করার সময় এখনও আসেনি। এখনও সালাহ রোনালদোর চেয়ে ১৫ বছর পিছিয়ে আছেন।
ক্লপের ভাষায়, ‘সালাহ চলতি মৌসুমে দারুণ খেলেছে। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না ক্রিশ্চিয়ানোর ক্যারিয়ারে এ রকম ১৫টা মৌসুম আছে। সব মিলিয়ে ৪৭০০০ গোল করেছে রোনালদো। তাহলে কেন সালাহর সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানোর তুলনা করা হবে? পেলে যখন খেলতেন কেউ তার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করত না। এখন রোনালদো আর মেসি আছে। যারা কয়েক বছর ধরে দাপট দেখাচ্ছে।’
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাবেক ম্যানেজার মনে করেন, ব্যক্তি নয়, দল নিয়ে ভাবা উচিত এখন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে একজন কতটা ভালো খেলে সেটাই শুধু দেখার নয়। আসল কথাটা হল, ভালো ফুটবল খেলা। আর সে জন্য দলে অন্য ফুটবলারদেরও প্রয়োজন রয়েছে।’
পাশাপাশি তার দল ট্রফি জেতার দৌড়ে রিয়ালের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও সেটা মাথায় রাখতে চান না ক্লপ। তিনি বলছেন, ‘২০০৫ সালেও তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আমাদের কেউ আমাদের শিরোপা জয়ে ফেবারিট মনে করেনি। শেষ পর্যন্ত কিন্তু লিভারপুলই জিতেছিল। এ বারও অনেকটা সে রকমই পরিস্থিতি। দেখার কার জেতার খিদে বেশি।’